Header Ads

Header ADS

ই-কমার্স বিজনেসে পেইজ নাকি ওয়েবসাইট । নাঈম হোসেন


 ই-কমার্স বিজনেসে পেইজ নাকি ওয়েবসাইট


গত কয়েক বছরের প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ব্যবসা পরিচালনা অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে এসেছে। অনলাইনের সাথে সম্পর্কিত প্রায় সকলেই ফেসবুকের সাথে যুক্ত। এমনকি অনেকেই ফেসবুকে পেইজ তৈরী করে তা প্রচারের মাধ্যমে বিজনেস দাঁড় করিয়ে ফেলছেন। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এটি একটি যুগোপযোগী সমাধান। তরুণ কিংবা তরুণীরা সহজেই একটি পেইজ তৈরী করতে পারছে। নিদিষ্ট নিশের পণ্যগুলো পছন্দ করে সেগুলো প্রচার করতে পারছে। এর ফলে অনেকের ভালো ব্যবসা দাঁড় হয়ে যাচ্ছে। একটি ব্যবসা করতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। যা পড়াশোনা অবস্থায় অধিকাংশ তরুণ তরুণীর হাতে থাকে না। তাই ওয়েবসাইট বানানোর সাহস তারা পায় না। কেননা একজন ডেভেলপার কে দিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানাতে গেলে তা বেশ অর্থের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু অনেকটাই সহজ। লস হওয়ার সম্ভবনা থাকে খুবই কম। আবার নির্দিষ্ট নিশ পরিবর্তন করতে চাইলেও তা সহজে করা যায়।






ধরুন রাকিব ছেলেদের পাঞ্জাবী বিশেষ করে কুমিল্লার খাদি পাঞ্জাবী নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করলো। সাথে সাথেই ফেসবুক পেইজ খুলে পাঞ্জাবীর ছবি গুলো যুক্ত করে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন এবং বিভিন্ন গ্রুপে তা প্রচার করতে লাগলো। প্রথম থেকেই তার বেশ লাভ হতে লাগলো। অন্যদিকে রাফি কুকুরের খাবার নিয়ে কাজ শুরু করলো। রাফিও রাকিবের মত একটি ফেসবুক পেইজ তৈরী করে তা প্রচার করতে লাগলো। তবে রাকিব শুরুতেই লাভবান হলেও রাফি লাভের মুখ তেমন একটা দেখতে পেল না। কারণ রাফি এই বিষয়ে প্রচার তেমন একটা করতে পারে নি। তাই রাফি চিন্তা করলো সে কুকুরের যাবতীয় বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানাবে। ওয়েবসাইটে নিয়মিত সে কুকুর সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে লাগলো। এসইও এবং বিভিন্ন মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক লোক তার ওয়েবসাইটে আসতে লাগলো। যাদের বেশির ভাগই কুকুর পছন্দ করেন এবং বাসায় কুকুর আছে। ধীরে ধীরে রাফির ব্যবসায় লাভ আসতে শুরু হলো।
ব্যবসার মূল বিষয় হচ্ছে কাস্টমারের কাছে পৌছানো। আপনার পন্যটি যদি কাস্টমারের নিকট পৌছাতে না পারেন তাহলে লাভের আশা চিন্তায়ও করতে পারবেন না। আর যদি গুণগত মান ঠিক রেখে সঠিক তথ্য কাস্টমারের নিকট পৌছাতে পারেন তাহলে লাভ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

অনেকেই বলবেন, ভাইয়া টাকা তো নাই কিভাবে ওয়েবসাইট বানাবো। শুরুতেই আপনাকে কেউ ওয়েবসাইট বানাতে বলে নি। আগে ফেসবুক পেইজে শুরু করুন। ধীরে ধীরে নিজের স্কিল গুলে ডেভেলপমেন্ট করুন। ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছুটা পড়াশোনা করুন এরপর ওয়েবসাইট বানানোর জন্য উদ্যোগ নিন। আর অবশ্যই আপনার বিজনেস সম্পর্কে জ্ঞান আরও বাড়াতে থাকবেন। কাস্টমারের চাহিদা বুঝার চেষ্টা করতে হবে। কারণ দিনশেষে কাস্টমারই সব, পণ্য যদি তাদের পছন্দ না হয় তাহলে এত প্রচার করেও লাভ নেয়।

ফেসবুক পেইজ কিংবা ওয়েবসাইট দুটোর গুরুত্ব রয়েছে। তবে শুরুতেই বেশিভাগের কাছে নগদ অর্থ না থাকায় ফেসবুক দিয়ে শুরু করুন। পেইজ তৈরির পূর্বে ডোমেন চেক করে নিন। সম্ভব হলে কিনে রাখুন। কেননা যখন একটা পেইজ পপুলার হয়ে উঠে তখন আপনি তা কিনে না রাখলে কেউ তা কিনে নিবে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে কিনে রাখুন। একটি নামে একাধিক পেইজ থাকলে তা ক্রেতার নিকট পৌছাতে সমস্যা হয়। পেইজ দিয়ে শুরু করলেও যদি কিছুটা অর্থ থাকে তাহলে ব্যবসাকে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসুন। তাহলে তা আপনার জন্য বেশি লাভবান নিয়ে আসবে।

তাহলে আজ এই পর্যন্ত। কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন পোস্টে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।


🔗FOLLOW ME:

Facebook (ID): Nayem Hossain

Facebook (Page): Nayem Hossain

Instagram: Nayem Hossain

E-mail: Personal.nayem2022@gmail.com

Website: Nayemhossainofficial.blogspot.com

কোন মন্তব্য নেই

নতুন পোস্ট

10 Minutes School

 টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। টেন মিনিট স্কুলে ...

জনপ্রিয় পোস্ট

Blogger দ্বারা পরিচালিত.