Header Ads

Header ADS

ফেসবুক জানা অজানা পর্ব-৭

 ফেসবুক জানা অজানা পর্ব-৭

টপিকঃ ফেসবুক পেইজ বুস্টিং- টার্গেট অডিয়েন্স




একটা মাস্টারকার্ড বা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকলেই আমরা যে কেউই ফেসবুকের বুস্ট অপশন ব্যবহার করে আমাদের সেলস পোস্ট বুস্ট করতে পারি। তবে অবশ্যই আমাদেরকে তা আগে ভালো মত শিখে নিতে হবে।সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স সেট না করে বুস্ট করলে ঘটতে পারে বিপত্তি। অনেক বেশি পরিমাণ ডলার বা টাকা বুস্টের পেছনে খরচ করেও খুব বেশি ভালো ফলাফল বা অর্ডার পাওয়া যায় না।



আসসালামু আলাইকুম। আমি নাঈম হোসেন। আজকে আলোচনা করবো কিভাবে টার্গেট অডিয়েন্স সেট করার মাধ্যমে আপনি নিজেই পেইজ বুস্ট করবেন। তবে চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা-




🗼 টার্গেট অডিয়েন্স সেট করতে আপনার করণীয়ঃ


🏵লোকেশনঃ


আমাদের অনেকের বিজনেসের ক্ষেত্রেই এমন বিষয় রয়েছে যে আমাদের ক্রেতারা নির্দিষ্ট একটি লোকেশনে অবস্থান করছে অথবা প্রোডাক্টের ধরণ এমন যে চাইলেই সব জায়গায় ডেলিভারি দেয়া সম্ভব না তখন আমাদের যেটা করতে হয় সেটা হলো নির্দিষ্ট করে ফেসবুককে নির্দেশ দিতে হয় যে আমাদের বুস্ট করা পোস্টটা বা সেলস পোস্টটা কোন এরিয়ার মানুষকে দেখাবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় যা ফেসবুকের লোকেশন টার্গেটিং এ এভেইলেবল রয়েছে সে এলাকাকে টার্গেট করতে পারবেন অথবা চাইলেই পুরো বাংলাদেশ টার্গেট করতে পারবেন। আপনি কোন এরিয়া টার্গেট করবেন এটা সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করে আপনার ডেলিভারি ক্যাপাবিলিটি এবং প্রোডাক্টের চাহিদার উপর। তবে যাদের প্রোডাক্ট পুরো বাংলাদেশে ডেলিভারি দেয়া সম্ভব তাদের উচিত পুরো বাংলাদেশকে টার্গেট করা কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গার মানুষই অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু অনেককেই দেখা যায় শুধু ঢাকাকে টার্গেট করেন যদিও তার প্রোডাক্ট পুরো বাংলাদেশে ডেলিভারি দেয়া সম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে শুধু ঢাকাকে টার্গেট করায় অর্ডার কম আসার সম্ভাবনা থাকে কারণ এক্ষেত্রে দেশের অন্য প্রান্তের মানুষজন আপনার এড দেখতে পায়না।

আর এছাড়াও ঢাকার মানুষের কাছে সবকিছুই এভেইলেবল থাকায় তারা আপনার প্রোডাক্টের প্রতি কম আকর্ষণ বোধ করে। আর এছাড়া এখানে কম্পিটিশনটাও অনেক বেশি। তাই আপনার সেলসপোস্টের বুস্টের ক্ষেত্রে লোকেশন সিলেকশনটা বুঝে শুনে করুন প্রয়োজনে এ ব্যাপারে প্রফেশনাল কারো হেল্প নিন কারণ সঠিক টার্গেটিং করতে না পারলে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।



🏵 বয়সঃ

আমাদের প্রায় সবারই বিজনেস প্রোডাক্টের ক্রেতার একটা বয়সের রেইঞ্জ রয়েছে। যেমন ধরুন আপনি থ্রী-পিস বা শাড়ীর পোস্ট বুস্ট করবেন স্বাভাবিকভাবেই আপনার এই শাড়ী বা থ্রী-পিস সব বয়সের মানুষকে মানাবেনা বা সচরাচর পড়ে না। এখানে আপনাকে এনালাইসিস করে বের করতে হবে কোন বয়সের মানুষ আপনার এই শাড়ী বা থ্রী-পিস পরতে পারবে এবং বুস্টের সময় আপনি তাদেরকেই টার্গেট করুন। ফেইসবুকে ১৩ থেকে ৬৫+ বয়সের মানুষকে টার্গেট করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং আপনি আপনার প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে বয়সের রেইঞ্জ টা ঠিক করে নিন এবং সেটাই ইউজ করুন।



🏵জেন্ডারঃ

আমরা অনেকেই এমন প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করি যে তা একটা নির্দিষ্ট জেন্ডারের জন্য, এবং উভয় জেন্ডারের মানুষ সে প্রোডাক্টের ক্রেতা নয়। যেমন আপনি যদি শাড়ী বা থ্রী-পিস নিয়ে বিজনেস করেন তাহলে আপনার প্রোডাক্টের টার্গেট অডিয়েন্স হবে নারীরা এবং বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নারী ইউজার রয়েছে। আপনি তাদেরকে আপনার প্রয়োজন মাফিক টার্গেট করতে পারেন।



🏵ডিটেইলড টার্গেটিংঃ

উপরের যে তিন ধরণের টার্গেট অডিয়েন্স সেটআপের কথা বলা হয়েছে তা আমরা প্রায় সবাই করে ফেলতে পারলেও ডিটেইলড টার্গেটিং ব্যাপারটা আমরা অনেকেই করতে পারিনা। এক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের জানা দরকার ডিটেইলড টার্গেটিং এ আসলে কোন কোন ভাবে টার্গেট করা সম্ভব।এক্ষেত্রে ফেসবুক আমাদেরকে ৩ ধরণের টার্গেট সেট করার সুযোগ দিচ্ছেঃ

১। ডেমোগ্রাফিক ২। ইন্টারেস্ট ৩। বিহ্যাভিয়ার।



🖌ডেমোগ্রাফিকঃ

আমরা মাঝে মধ্যেই চাই আমাদের প্রোডাক্ট একটা নির্দিষ্ট শ্রেণীর বা পেশার মানুষ দেখুক, এটা আমরা কীভাবে করতে পারি? এটা সহজেই ডেমোগ্রাফিক অপশন ব্যবহার করে করা যেতে পারে। এর অধীনে আমরা মূলত ইউজারদের শিক্ষা, লাইফ ইভেন্ট (জন্মদিন, এনিভার্সারি ইত্যাদি), রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস, জব টাইটেল অর্থাৎ কে কী করছেন পেশা হিসেবে এসব কে টার্গেট করে দিতে পারি। যেমন ধরুন আপনি যদি কাপল ড্রেস সেল করতে চান সেক্ষেত্রে ডেমোগ্রাফিক থেকে আপনি যাদের “ইন এ রিলেশনশীপ” স্ট্যাটাস রয়েছে তাদের সিলেক্ট করে দিয়ে সহজেই আপনার ক্রেতা পেতে পারেন।



🖌 ইন্টারেস্টঃ

ধরুন, আপনি হোমমেইড ফুড নিয়ে কাজ করছেন, আপনি স্বাভাবিকভাবেই চাইবেন আপনার সেলস পোস্টের এডটা বা বুস্ট করা পোস্টটা এমন মানুষ দেখুক যারা খাবার নিয়ে আগ্রহী এবং এই মানুষগুলোকে আপনি সহজেই ইন্টারেস্ট অপশনটি ইউজ করে টার্গেট করতে পারেন। যাদের ইন্টারেস্ট রয়েছে তাদের টার্গেট করা যায়।



🖌 বিহ্যাভিয়রঃ

ধরুন আপনি চাচ্ছেন আপনার সেলসপোস্টটা বা বুস্ট করা পোস্টটা তারা দেখুক যারা এন্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করেন, সেক্ষেত্রে আপনি এই বিহ্যাভিয়র অপশনটি ইউজ করতে পারেন। এটা ইউজ করে এছাড়াও আপনি ইউজারদের ডিজিটাল এক্টিভিটিজ, পারচেইজিং বিহ্যাভিয়র, ট্রাভেলিং বিহ্যাভিয়র ইত্যাদি ইউজ করেও টার্গেটিং করতে পারেন। যেমন আপনার যদি ট্রাভেল এজন্সি বা ট্যুর এজেন্সি থাকে আপনি ট্রাভেলিং বিহ্যাভিয়র অপশন ইউজ করে টার্গেটিং করতে পারেন এক্ষেত্রে সঠিক টার্গেট অডিয়েন্সকে সিলেক্ট করা সম্ভব, কারণ আমরা যখনই কোথাও ভ্রমণে যাই স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেটা ফেইসবুকে পোস্ট করে থাকি এবং এটার সূত্র ধরেই ফেইসবুক ট্রাভেলারদের ডিটেক্ট করে থাকে এবং আমাদেরকে টার্গেট করার সুযোগ দেই।





সত্যিকার অর্থেই বুস্ট করা পোস্টের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ সেলস বা অর্ডার পেতে সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স এনালাইসিস করা এবং তা সেট করে বুস্ট করাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার প্রোডাক্টের বা বিজনেসের সেলস পোস্ট বুস্টের ক্ষেত্রে উপরের বিষয়গুলো অনুসরণ করে সঠিক টার্গেট অডিয়েন্স সেট করুন এবং প্রয়োজনে প্রফেশনাল কারো হেল্প নিন। কারন দিন শেষে বুস্টের জন্য খরচ করা ডলার বা টাকা আপনাকে ভাল পরিমাণ অর্ডার এনে দিতে ব্যর্থ হলে আপনি হতাশ হয়ে পড়তে পারেন।



আজ এ পর্যন্তই সামনে আবারও কথা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। মার্কেটিং সহ যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাকে সেবা দেওয়ায় আমার লক্ষ্য।


🔗FOLLOW ME:

Facebook (Page): Nayem Hossain

Facebook (ID): Nayem Hossain

Instagram: Nayem Hossain

E-mail: Personal.nayem2022@gmail.com

Website: Nayemhossainofficial.blogspot.com


কোন মন্তব্য নেই

নতুন পোস্ট

10 Minutes School

 টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। টেন মিনিট স্কুলে ...

জনপ্রিয় পোস্ট

Blogger দ্বারা পরিচালিত.