Header Ads

Header ADS

ই-কমার্স বা অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত প্রাথমিক আলোচনা

 

ই-কমার্স বা অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত প্রাথমিক আলোচনা



আধুনিক বিশ্বে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। সব ধরনের পন্যই আপনি বিক্রি করতে পারবেন। কোরবানীর গরু কিংবা বিলাসবহুল বাড়ি যদি অনলাইনে বিক্রি করা যায় তাহলে মাংস, ভ্যাকুয়াম প্যাক মিষ্টান্ন কিংবা শুটকি বিক্রি করাতো একেবারে ডালভাত। প্রয়োজন হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রসেসগুলো সঠিকভাবে করা। যেমনঃ মার্কেটিং, সাইট ডেভেলপমেন্ট, পেমেন্ট মুড, ইজি ডেলিভারী, সময়ানুবর্তিতা, মানসম্পন্ন প্যাকিং এবং যুক্তিসঙ্গত দাম।

 

  • কি নামে হবে আপনার ই শপ?

নাম করণের কোন ব্যাকরণ নেই। তবুও কিছু কিছু নীতি মেনেই আপনার নামকরণ করা উচিত। নামকরনের সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন-

১. নামটি এমন হবে যেন তা শুনেই ব্যবসার পন্য বা ধরণ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। খুব বেশী প্রমোশন না করতে পারলে রিলেটেড নামটি আপনাকে খুব কাজে দেবে।

২. আপনার নামটি এমন হবে যেন এসইও করা সহজ হয়। আপনার মেসেজ ক্রেতাকে পৌছানোর জন্য বিষয়টি জরুরী। যেমন ধরুন আপনি অনলাইনে হিজাব বিক্রি করতে চান। এখন আপনি নামটা হিজাব শব্দের সহিত মিলিয়ে দিতে পারেন। যেমন- হিজাবফর অনলাইন.কম, হিজাবশপ.কম, হিজাববাড়ী.কম, দিহিজাব.কম. হিজাবলুক.কম। এমন হয় যে আপনার হিজাব বিশেষ বৈশিষ্ট্যের যেমন ধরুন আপনি রং বেরংয়ের হিজাব রাখেন সেক্ষেত্রে নাম হতে পারে- কালারহিজাব, হিজাব কালার, হিজাব ওয়ার্ল্ড, ভেরাইটিজ হিজাব, হিজাব অনলাইন ইত্যাদি।

৩. নাম রাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে এর বানানটি যেন সহজ হয়। খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন খুব বড় না হয়। বাংলা বা অন্য ভাষার শব্দ ইংরেজীতে লেখার সময় বানানের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। গ্রহণযোগ্য বানানটিই কাম্য।

৪. নামটা ডট কমএ পেলেই ভালো, ডোমেইনটা চেক করে নেবেন আর সম্ভব হলে ডোমেইনটাও নিয়ে নিতে পারেন।

৫. নাম লোগো ফাইনাল করে যত আগে থেকে সম্ভব ফেসবুক পেইজ হলেও প্রচারণা শুরু করে দেবেন। ততই পরিচিতিটা বাড়বে।


  • লিগাল ডকুমেন্টসঃ
ট্রেড লাইসেন্সটা অন্তত নিয়ে নিন। টিন ভ্যাট পর্যায়ক্রমে করে নিতে পারেন। যদি বিদেশ থেকে সরাসরি পন্য আমদানী করতে চান তাহলে ইমপোর্ট লাইসেন্স এর প্রয়োজন হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চেম্বার্স বা বণিক সমিতির সদস্যপদের প্রয়োজন হয়।


  • অফিস স্পেসঃ
ব্যবসা যেহেতু ভার্চুয়াল সেহেতু ট্রাডিশনাল অফিস নেয়াটা শুরুর দিকে জরুরী নয়। আপনার বাসার ঠিকানা দিয়েও শুরু করতে পারেন। তবে যদি যোগাযোগ, কর্মীদের বসা এবং পন্য স্টক রাখা প্রয়োজন হয়। তাহলে একটা অফিস নিয়ে নিতে পারেন। অফিস কত ছোট বা কত বড় হবে সেটা নির্ভর করছে আপনি কি পরিমাণ পন্য স্টক করবেন, কতজন লোক বসবে এবং কি কি সার্ভিস থাকবে তার উপর।


  • পন্য সংগ্রহ:
পন্য সংগ্রহের অনেকগুলো উপায় আছে, এটা আপনার নিজের অবস্থান, ব্যবসায়িক পুঁজি, কি পন্য ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। যেমনঃ

১. আপনি যদি শুটকি বিক্রি করতে চান আর আপনার হোম বা অফিস যদি চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারে হয় তাহলে আপনার স্টক না থাকলেও চলবে আপনি অর্ডার পাওয়ার পর পন্য কিনে ডেলিভারি দেবেন।

২. আপনি যদি সুন্দরবনের মধু বিক্রি করেন। তাহলে নিশ্চয় ২০/৫০ কেজী স্টক লাগতে পারে। তবে আপনি যদি নিজে খুলনা বা বাগেরহাটে অবস্থান করেন অথবা অর্ডার মতো পন্য ক্রয় করে বোতলজাত ও প্যাকিং করে পাঠানোর মতো কোনো এজেন্ট সেখানে থাকে তাহলে আপনার স্টক করার প্রয়োজন নাও হতে পারে।

৩. চায়না পন্য হলে পাইকারী বাজারে পাওয়া যায়। চায়না থেকে সরাসরিও কিনতে পারেন। নিজে গিয়েও চীন সফর করে পন্য নিয়ে আসতে পারেন।

৪. জুতা, ব্যাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে অর্ডার পাওয়ার পর পাঠানোর সুবিধা রাখুন। সেটা আপনার স্টকিং এর মাধ্যমেও হতে পারে অথবা কাছাকাছি কোন আউটলেট থাকতে হবে।

৫. সবজি, কাঁচাবাজার বা স্পর্শকাতর পন্য হলে কোল্ড স্টোরেজ সহ টেকনিক্যাল এবং রিলেটেড বিষয়ে সচেতন থাকুন।



  • ছবিতোলাঃ

ছবিতোলা একটা টেকনিক্যাল এবং গ্রামাটিক্যাল বিষয়। তাই ছবি তোলার জন্য যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করুন।

১. ভালো পিক্সেল এবং ভালো ডিপিই রেজুলেশানের ক্যামেরা সংগ্রহ করুন। আজকাল ডিএসএলআর ব্যবহারের একটা প্রবণতা রয়েছে। যতটা সম্ভব ভালো ক্যামেরা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন তবে নিজের জ্ঞান না থাকলে দামী ও উন্নত ফিচার সম্পন্ন ক্যামেরা ধরার প্রয়োজন নেই।




২. ছবি তোলার সময় আলোর প্রতি খেয়াল করুন। আলো প্রক্ষেপন সব দিক থেকে সমান হলে পন্যে থ্রিডি লুক নাও আসতে পারে। আবার একদিকে খুব আলো অন্যদিকে বেশী ছায়া যেন না থাকে। পন্যের গায়ে বা পেছনে যেন আলো প্রতিফলন না হয় সেটাও খেয়াল করুন।

৩. ছবি তোলার সময় এমনভাবে তুলুন যাতে পন্যের আশেপাশে জায়গা থাকে। তবে সে জায়গাটা এতটা থাকবে যেন পন্যটাই মূল ফোকাসে থাকে।

৪. দুই তিনটা পন্যের ছবি একসাথে তোলার সময় কম্বিনেশন খেয়াল করন। রং এর ক্ষেত্রে কালার মিলিয়ে সাজান। যেন কনট্রাস্ট না হয়। কোন কালারের পন্যের পর কোন কালারের পন্য সাজাবেন কালার সেন্স ব্যবহার করে সাজান। কোনটি আগে এবং পিছে থাকবে সেটাও সাইজ অনুসারে ব্যালেন্স করুন।

৫. ছবি তোলার সময় হালকা রঙ এর ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ম্যাচ করুন, যদি কনট্রাস্ট কালার হয় তবে আপনার মুন্সিয়ানা থাকলে তা করুন। নচেৎ কনট্রাস্ট কালারে যাবেন না।

৬. পন্যের লুকিং সুন্দর করার জন্য সাথে ফুল, রঙ্গিন কাগজ, মকমলের কাপড়, পাতা, রঙ্গিন কাগজ, ইত্যাদি জিনিস পন্যের পাশে রেখে ছবি তুলুন। তবে খেয়াল রাখুন যেন মূল বিষয়টা ফোকাসে থাকে। যেমন একটা মধুর বোতলের পাশে একটি ফুলের কড়ি তো মানানসই হতে পারে।

৭. একই পন্যের ছবি তোলার সময় পন্যটি একই ফ্রেমে ২/৩টা মুডে রাখতে পারেন। যেমন একটা শালের ছবি তুলতে একটি ভাঁজ করা শাল, সাথে একটি খোলা শাল, সাথে একটি প্যাকেট করা শালের ছবি একসাথে রাখতে পারেন।

৮. আপনার ক্যামেরাটি কোনমুডে কোন সময় ভালে ছবি তোলা যায় তা আগেই ঠিক করে রাখুন। ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড আগে থেকে তৈরী করে রাখতে পারেন।

৯. ছবি তোলার সময় ফ্রেমের দিকে খেয়াল রাখুন আপনার ছবিতে যে বিষয়গুলো আসছে তার কোনোটা যেন কাটা না পড়ে।

১০. ক্যামেরায় রুলস অব থার্ডের একটি বিষয় আছে। এটা ছবি তোলা জ্ঞানের একেবারে প্রথম ধাপ, বলতে পারেন বর্নমালার ‘অ’ । এটি অন্তত চেস্টা করুন। এর মূল সূত্র হলো আপনার মূল ফোকাসটি ফ্রেমের সেন্টারে না থেকে সেন্টার থেকে একটু দূরে আরো ৪টি সাইড সেন্টারে মূল ফোকাসটি রাখতে হয়। মাঝখানে আড়াআড়িভাবে এবং লম্বালম্বিভাবে সমান দুরত্বে দুটি করে রেখা কল্পনা করলে আপনার মূল ফ্রেমটি ৯টি সামনভাগে বিভক্ত হবে। এবং প্রতিটি লাইন চারটি বিন্দুতে ক্রস করবে। সেগুলোই আপনার ফোকাস বিন্দু হবে।

১১. ছবি তোলার সময় হাতে রাখার মতো কোন জিনিস হলে। আপনি যদি সেটা সাইজ বোঝাতে চান তাহলে সেটা হাতে রেখে তুলতে হবে। যাতে করে হাতের সাথে তুলনা করে বোঝা যায় জিনিসটার সাইজ কতো ছোট অথবা বড়। কোন জিনিস যেমন ধরুন গাড়ি বা মোটরসাইকেল বা বাই সাইকেল তখন সাথে একজন মানুষ দাড়িয়ে থাকলে পন্যটির আকার কত তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

১২. ফ্রেমের ভেতর যা কিছু আসবে তার একটা শৈল্পিক কম্পিনেশনের প্রতি খেয়াল রাখুন। যদি এ বিষয়ে আপনার খুব জানা না থকে তাহলে নিজের সাধারণ জ্ঞান ও সৌন্দর্যবোধকে কাজে লাগান।



  • ওয়েবসাইট তৈরীঃ
১. ওয়েবের হোমপেইজটার প্রতি নজর দিন, সুন্দর ডিজাইন ও আর্কষনীয় ফিচারে সাজান পুরো পেইজটি। কম কথায় পুরো বিষয়গুলো প্রকাশ করতে চেষ্টা করুন। হোমে খুব বেশী কিছু না দিলেও পেইজটি এমনভাবে সাজান যেন একটা ভালো ধারণা পাওয়া যায়। এমনভাবে লিংক তৈরী করুন যেন সহজে লিংক পেইজে যাওয়া যায়। পন্যের নাম, বিষয়, ক্যাটাগরি, শাখা ও দাম লিখে সার্চ করার অপশন রাখুন।




২. বিভিন্ন পন্য কাস্টমারের চাহিদার কথা ভেবে ক্যাটাগরি তৈরী করুন। আলাদাভাবে টপ টেন সেল দেখান। তুলনামূলক কমদামী পন্যগুলো সামনে নিয়ে আসুন এবং লেটেস্ট আইটেম নামে আলাদা একটি অংশ রাখুন যাতে তা সহজে চোখে পড়ে। আপনি আপনার কিছু পন্য যদি অন্যগুলোর চাইতে বেশী সেল করতে চান। সিলেকটেড আইটেম আলাদা ফিচারিং করতে পারেন এবং কিছু আনকমন বা এক্সক্লুসিভ আইটেম নিয়ে স্পেশাল বিভাগ খুলুন।

৩. পেমেন্ট মুডগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করুন।

৪. মোবাইলে অনেক ভিজিটর ভিজিট করবে তাদের কথা মাথায় রেখে পেইজ ডিজাইন করুন।

৫. পন্যের সাথে একটি ডিটেইল অপশন যোগ করুন- সেখানে যত সম্ভব তথ্য দিন। উৎপাদন, সাইজ ওজন ও ব্যবহার বিধি ইত্যাদি।

৬. হটলাইন নাম্বারটি সহজে চোখে পড়ে এমনভাবে লিখুন। কাস্টমার কেয়ারের জন্য লাইভ প্রশ্ন উত্তর এর ব্যবস্থা রাখতে পারেন ফোন লাইন এবং অনলাইনে।

৭. এমনভাবে প্লাটফর্মে সাইট বানাবেন যাতে ভবিষ্যতে যেকোনে ধরনের কাস্টমাইজেশান করা যায়।


  • ডোমেইন হোস্টিং:
ডোমেইন এমন কোম্পানী থেকে নেবেন, যেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আপনি কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকবেন। হোস্টিং এর ক্ষেত্রে গতির কথা মাথায় রাখুন আর মেয়াদ শেষ হলেও যারা বাড়তি সুবিধা দেয় তাদেরকে অগ্রাধিকার দিন।


  • পেমেন্টঃ
দেশে যতগুলো পেমেন্ট অপশন আছে সবগুলো রাখুন। ডেলিভারী নেয়ার সময় নগদ পরিশোধ, ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে পরিশোধ, চেকের মাধ্যমে পরিশোধ, বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ, পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে মোবাইলে পরিশোধ, ডাকঘরের মাধ্যমে ভিপি যোগে পরিশোধ,কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্যাশ অন ডেলিভারি পরিশোধ, পার্সেল সার্ভিসে কন্ডিশন ডেলিভারীর মাধ্যমে পরিশোধ, এজেন্ট বা ডিস্টিবিউটরের মাধ্যমে প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনার পরিশোধ, নিজস্ব পেমেন্ট মুড তৈরী, বিভিন্ন কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ, প্রবাস থেকে পরিশোধ।


  • প্যাকিং:
প্রতিটি পন্যের জন্য রিলেটেড প্যাকিং ব্যবহার করুন।

বইপত্র:
হাতে হাতে ডেভিভারী হলে ভালো কাগজ ও পলিব্যাগ ব্যবহার করুন। কুরিয়ারে পাঠালে এই দুটির জন্য প্যাকেটটি মোটা কসটেপে মুড়ে নিন, কয়েকটি হলে প্যাকিং করার আগে সুতলী দিয়ে বেঁধে নিন। তবে প্যাকিংয়ের পরে অবশ্যই ক্রস করে বাঁধবেন। ২০ কেজীর বেশীর ক্ষেত্রে প্লাস্টিক বা পাটের চটে মুড়ে নেন। মুড়ার জন্য এ ধরনের ৬ ইঞ্চি লম্বা সুই পাওয়া যায়। সুতলী দিয়ে সেলাই করে দিতে হয়।






জুতা, কাপড়, ফ্যাশনওয়ার:
মোটা কাগজ বা পলিব্যাগে প্যাক করুন। তারপর মোটা টেপ মুড়ে দিন। প্যাকের গায়ে সুন্দরভাবে নাম ঠিকানা লিখুন। প্রেরক ও প্রাপকের ফোন নং লিখুন। ফোন নম্বরটা ভালোভাবে লিখুন। শেষবারের মতো চেক করে নিন। চালান নং ও তারিখ লিখে দিন প্যাকের গায়ে। কোন কারণে মিসিং বা ডিলে হলে পরে কাজে লাগবে।


মিষ্টি ও খাবার:
শক্ত প্লাস্টিক বাটিতে দিয়ে টেপ দিয়ে মুড়ে দিন যেন লিকুইড না চুয়ে পড়ে। বাটিটা শক্ত হওয়া চাই যেন ভেঙ্গে না যায়। মূল প্যাকেট বাটিতে হলেও ভিতরে একটি পলিব্যাগ থাকা চাই আর বাটিটা যদি কার্টনে দেয়া যায় তাহলে আরো ভালো। আর তা না হলেও কাগজে টেপ মুড়ে দিতে হবে। ভ্যাকুয়াম প্যাকিং দিতে পারলে সর্বোত্তম।

অলংকার, কসমেটিকস শক্ত বক্সে প্যাক করুন যেন সাধারণ চাপে ভাঙার সম্ভাবনা না থাকে। সবজি ও খাবার প্যাকিং স্বাস্থ্যসম্মত ব্যাগ ব্যবহার করুন। কাঁচের মাল কোন একটা নির্দিষ্ট স্টেচারে বসান। সেটা সমান না হলে প্রতিটির উপরে নিচে পাশে কাগজের রোল বানিয়ে ব্যবহার করুন। যাতে চাপটা সামলানো যায়। ভঙ্গুর চিহ্ন একে দিন, চোখে পড়ার মত করে কাচের মাল লিখে দিন। মাল বুকিং দেয়ার সময়ও একই কথা উল্লেখ করুন। মূল কার্টনটি কিন্তু শক্ত ও মোটা হওয়া চাই। ৫০ টাকা সেভ করার জন্য ৫০০ টাকার পন্য নস্ট করবেন না।বোতল জাতীয় পন্য পাঠাতে একটু বেশী সতর্ক থাকুন। পানি বা কোকের বোতল শক্তই আছে। অন্যান্য প্লাস্টিক বোতল কিন্তু দেখতে শক্ত মনে হলেও ফেটে যেতে পারে। এজন্য বোতল সিলেকশানে সতর্ক হোন। ছিপিটি ভালোভারে লাগান, ছিপিতে টেপ দিয়ে মুড়ে দিন। প্রয়োজনে একটা ছিপি মেশিন কিনে ছিপি লাগান। বোতল কার্টনে রাখার জন্য প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহার করুন। যেমনটা কোকের বড় বোতলে কেইসে থাকে। তা সম্ভব না হলে কার্টনে দুইটি বোতলের মাঝে পুরনো খবরের কাগজকে মুছড়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে বসিয়ে দিন, ছাপটা লাঘব হবে।


দাম নির্ধারণ:
পন্যের দাম নির্ধারণ ক্ষেত্রে বিচক্ষণ হোন। বাজারে পন্যটির দাম সম্পর্কে খবর নিয়ে দাম নির্ধারণ করুন। ২/৪শ টাকার পন্যের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা বেশী হতে পারে ডেলিভারী চার্জ সহ অথবা ১শ টাকা। এর বেশী নয় ২/৪ হাজার টাকার দামের পন্যের ক্ষেত্রে ৫-১০শতাংশ দাম বেশী হতে পারে। তবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যদি আপনি হোম ডেলিভারী দিয়েও বাজারের সমান দাম নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন সেখানেই আপনার বাহাদুরি। দাম নির্ধারণ এর আরেক প্রক্রিয়া হলো লাভ ধরে দাম নিধারণ করা। খরচ বাদ দিয়ে ১০-২০ শতাংশ লাভ ধরে দাম নির্ধারণ করা যায়। আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে দাম নির্ধারনের, যেমন ধরুন আপনি ২০০০ টাকা দিয়ে একটি শাড়ি কিনলেন। তাহলে ৫-১০% বিজ্ঞাপন খরচ, ৫-৭% প্যাকিং ও ডেলিভারী খরচ, ৫% অফিস খরচ, ৫% ঝুকি তহবিল ও ১০% লাভ তাহলে শাড়ির
বিক্রয়মূল্য দাড়ালো ২৫০০ টাকার একটু বেশী।




ডেলিভারী :
শহর অঞ্চলে ডেলিভারী বাসা পর্যন্তই দিন। এজন্য ডেলিভারী ম্যান নিয়োগ দিন। জেলাশহরে হোম ডেলিভারী দিতে চাইলে কুরিয়ার এর সাহায্য নিন অথবা এসএ পরিবহন স্টাইলে কন্ডিশন ডেলিভারি দিন। ক্যাশ অন ডেলিভারীর সুযোগ নিতে পারেন, সম্ভবত জেলা শহরের বাইরে তা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে ডাকবিভাগে ভিপিযোগে পন্য পাঠিয়ে মূল্য গ্রহণ করুন। বিভিন্ন এলাকায় এজেন্টশিপ এর ভিত্তিতেও পন্য ডেলিভারী ও দাম গ্রহনের অপশন রাখতে পারেন।







বিজ্ঞাপন:
বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করুন। আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা তারা কোন মাধ্যম ব্যবহার করে সেটাকে গুরুত্ব দিন। অনলাইন ও অপলাইন দুইভাবেই এড দিন। দুইভাবেই অর্ডার অপশন রাখুন।


আজ এই পর্যন্তই আবারও ফিরে আসবো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ই-কমার্সের বাকি বিষয় গুলো নিয়ে। পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। আপনার কোন মতামত থাকলে আমাদের কে জানাতে পারেন।





🔗FOLLOW ME:

Facebook (ID): Nayem Hossain

Facebook (Page): Nayem Hossain

Instagram: Nayem Hossain

E-mail: Personal.nayem2022@gmail.com

Website: Nayemhossainofficial.blogspot.com


কোন মন্তব্য নেই

নতুন পোস্ট

10 Minutes School

 টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। টেন মিনিট স্কুলে ...

জনপ্রিয় পোস্ট

Blogger দ্বারা পরিচালিত.