Header Ads

Header ADS

ই-কমার্সে ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তা । নাঈম হোসেন

 

ই-কমার্সে ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তা



আমাদের মাঝে অনেকেরই ডায়েরি লেখার অভ্যাস থাকলেও ধীরে ধীরে মানুষ অনলাইনে লেখালেখির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ভার্চুয়াল ডায়েরি বা ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নানা বিষয়ে লেখালেখি করতে পারে খুবই সহজে। ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসার দ্রুত প্রচার ও বিকাশের ফলে সহজেই এখন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। ই-কমার্সের এই প্রসারে ব্লগিং এর নানামুখী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি ই-কমার্সে ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তবে চলুন শুরু করা যাক-




পণ্যের প্রচারে ব্লগিংঃ

ব্লগিং বা ভার্চুয়াল ডায়েরিতে লেখালেখির মাধ্যমে আমরা পন্যের প্রচার করতে পারি। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে নানা বিষয়ে লেখালেখি করা হয়ে থাকে৷ মানুষ এখন অনলাইনের প্রতি নির্ভরশীল হওয়ায় বিভিন্ন ব্লগার তার ব্লগ লেখার মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করে থাকে। কেননা অনেক লোক এই লেখা গুলো পড়ে তাদের লেখাগুলো ভালো লাগলে তারা ঐ পন্যটি ক্রয় করে থাকে। তাই পণ্যের প্রচার ব্লগিং এর প্রয়োজনীয় রয়েছে।


সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্কিয়ে ব্লগিংঃ

আমাদের যখনই কোন কিছু জানতে ইচ্ছে করে আমরা প্রথমেই সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে উক্ত বিষয়ের কি-ওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয়। জনপ্রিয় সার্চ ইন্জিনগুলো হচ্ছে-গুগল,ইয়াহু,বিং ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিনে কি-ওয়ার্ড সার্চ দিয়ে খুব সহজে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট পাওয়া যায়। অধিকাংশ ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সাব ডোমেন করে ব্লগিং করা হয়। এর ফলে দ্রুত ভিজিটর বাড়ে এবং র‍্যাঙ্কিং হয় ওয়েবসাইট। পার্মালিংকের মাধ্যমে ভিজিটর বাড়ানো যায় এবং দ্রুত র‍্যাঙ্ক হয়।

কাস্টমার তৈরীতে ব্লগিংঃ

কোন ওয়েবাসাইটে পণ্যের পোস্ট যারা দেখে তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তি পণ্যের কাস্টমার হয়ে থাকে। তাই ব্লগিং কাস্টমার তৈরীতে ভূমিকা রাখে। আপনার লেখা ব্লগ যদি ডিজিটরের ভালো লাগে এবং তা বিশ্বাস অর্জন করতে পারে তাহলে ঐ ভিজিটর পণ্যের ক্রেতা হওয়ার সম্ভবনা খুবই বেশি। এজন্য সুন্দর লেখা ও দক্ষ ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেতা তৈরী করতে পারেন। পন্যের খুটিনাটি ও সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটর কে আকৃষ্ট করা সম্ভব। যা তাকে ক্রেতায় রুপান্তর করতে পারে।


ব্র্যান্ডিং এ ব্লগিংঃ

কেউ নিয়মিত কোন বিষয়ে বা কোন পণ্য নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে ঐ পন্যের ব্র্যান্ডিং তৈরী করতে পারে। কেউ যদি পন্যের সঠিক ও খুটিনাটি তথ্য প্রদান করে তাহলে ভিজিটরের বিশ্বস্ততা অর্জন হয়। পন্যের ব্র্যান্ডিং ই-কমার্সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নিয়মিতভাবে ব্লগিং এর মাধ্যমে পন্যের ব্র্যান্ডিং গড়ে তুলতে পারে।

নিয়মিত ব্লগিং করতে পারলে তা আপনার পন্য বিক্রির জন্য ভালো প্রভাব ফেলবে। ফেসবুকে যে পোস্ট গুলো করা হয় এগুলোকে মাইক্রো ব্লগিং বলে। তাই আপনার নিয়মিত গুরুত্বের সাথে লেখালেখি করে যাওয়া উচিত। একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে আপনার পন্যের সাথে সম্পর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে অডিয়েন্সের নিকট আপনার বিশ্বস্ততা তৈরী করতে পারলে পণ্যের প্রতি তারা আস্থাশীল হবে।

আজ এই পর্যন্তই, আশা করি লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে পোস্টটি শেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে জানাতে পারেন। পরবর্তী লেখাগুলোতে তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।


🔗FOLLOW ME:

Facebook (ID): Nayem Hossain

Facebook (Page): Nayem Hossain

Instagram: Nayem Hossain

E-mail: Personal.nayem2022@gmail.com

Website: Nayemhossainofficial.blogspot.com

কোন মন্তব্য নেই

নতুন পোস্ট

10 Minutes School

 টেন মিনিট স্কুল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। টেন মিনিট স্কুলে ...

জনপ্রিয় পোস্ট

Blogger দ্বারা পরিচালিত.